ইলেকট্রিক ক্যাপিটাল অনুসারে, শীর্ষ-পাঁচটি ব্লকচেইন ইকোসিস্টেম হল ইথেরিয়াম, পলকাডট, কসমস, সোলানা এবং বিটকয়েন।
ইথেরিয়াম প্রারম্বিক যাত্রায় যা ডেভেলপড করেছিল, পলকাডট এবং সোলানার তার চেয়ে বেশি ডেভেলপমেন্ট করছে। ক্রিপ্টোর দাম বৃদ্ধির এমন রেকর্ড দেখে, গত বছরের তুলনায় এবছর অনেক বেশি ডেভেলপার Web3 প্রজেক্টে জয়েন করেছে।
ইলেকট্রিক ক্যাপিটালের একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি প্রোটোকল ইকোসিস্টেম ইথেরিয়ামের বড় ইকোসিস্টেমকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, “পলকাডট,সোলানা,NEAR, [Binance Smart Chain], Avalanche, এবং Terra-এর প্রারম্ভিক ইকোসিস্টেম ইথেরিয়ামের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে,”
গত বছর, সোলানা, Avalanche, BSC, এবং Terra তাদের নেটওয়ার্কে পিয়ার-টু-পিয়ার লেন্ডিং, সোয়াপ এবং অন্যান্য ট্রাজেকশনের জন্য অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে নতুন হাব হয়ে এসেছ, ফলে ওইসব টোকেনের দাম সেই অনুযায়ী বেড়েছে। কয়েক বছর কাজ করার পর, পলকাডট, ডিসেম্বরের শেষে “প্যারাচেইনস” চালু করে,যা মূলত পলকাডটের নেটওয়ার্কে একটি ছোট ব্লকচেইনকে যুক্ত করেছে।
যারা ২০১৭ সালে ইথেরিয়াম প্রজেক্টে কাজ শুরু করেছিল তাদের মধ্যে ৩০% এখনো ২০২১ অবধি কাজ করছে।
এটি স্পষ্ট ইথেরিয়ামের প্রারম্ভিক সময়ে, সোলানা এবং টেরার মতো ক্রিপ্টো ফ্রেন্ডলি মার্কেট ছিলনা। তখনকার বিটকয়েন এবং ইথেরিয়ামের সাফল্যেই আজ আমরা এমন বড় ক্রিপ্টো ইকোসিস্টেম দেখতে পাচ্ছি। তার উপর, Avalanche এবং BSC তাদের নেটওয়ার্কের মূল উপাদান ইথেরিয়াম থেকেই নিয়েছে, ফলে তারা সহজেই ডেভেলপারদের সাথে পরিচিত হতে এবং তাদের আকৃষ্ট করতে সমর্থ হচ্ছে।
পরিশেষে এটাই বলা যায়, ইথেরিয়াম এখনো ডেভেলপারদের বড় ইকোসিস্টেম দখল করে আছে। যদিও বিটকয়েন পলকাডট, কসমস এবং সোলানার পিছনে পড়ে পঞ্চম স্থানে নেমে এসেছে।