ক্রয় -বিক্রয়ের তারতম্যের কারনে বুল বা বেয়ার মার্কেট দেখা যায় । তবে বেশ কিছু সূচক দেখে মার্কেটের পরিস্থিতিকে পরিলক্ষণ করা যায় । আজ সেই সূচকগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান বুলিশ মুভমেন্টের কারনগুলোকে খুঁজে দেখবো ।
ফান্ডিং রেট
ফান্ডিং রেট মূলত মার্কেটে কোন ক্রিপ্টোকারেন্সির লং ও শর্ট পজিশনের তারতম্যের পার্থক্যকে তুলে ধরে ।
বর্তমান ফান্ডিং রেট অনুযায়ী মার্কেটে কিছুটা বেয়ারিশ মনোভাব দেখা যাচ্ছে ।
এই ফান্ডিং রেট চেনার উপায় হলো, যদি সাদা বা কালো কালিতে লেখা থাকে তাহলে মার্কেট নিউট্রাল পজিশনে আছে । সবুজ কালিতে থাকলে বুলিশ আর লাল কালিতে থাকলে বেয়ারিশ । সবুজ কালিতে থাকা মানে লং পজিশন বেশি । আর লাল কালিতে থাকা মানে শর্ট পজিশন বেশি । তবে ট্রেডাররা মূলত লাভ করার জন্য এর উল্টোটা করে থাকেন ।
লিকুইডেশন ফান্ডামেন্টাল
ফান্ডামেন্টাল দিক থেকে তেমন কোন অগ্রগতি নেই । তবুও মার্কেট গত মাসে ৩৯.৮৩% পাম্প হয় ।
মূলত অতিরিক্ত ডলার সরবরাহের কারনে মার্কেট এতোটা পাম্প হয় । অপরদিকে মার্কেটে অনেক বেশি মানুষ বেয়ারিশ ছিলো । এই বেয়ারিশ পজিশনগুলোকে লিকুইডেট করার জন্যই মার্কেটকে ম্যানুপুলেট করা হয় ।
ক্রিপ্টো ফিয়ার এন্ড গ্রীড ইনডেক্স
ক্রিপ্টো বাজারের উত্থান-পতন বেশ খাড়া হতে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত হওয়া বিরল নয় । “ক্রিপ্টো ফিয়ার এন্ড গ্রীড ইনডেক্স” বাজারে প্রভাবশালী মেজাজের মূল্যায়ন করে । তাই মনস্তাত্ত্বিক ফ্যাক্টরটিও বিবেচনায় নেয়া হয় ।
ফিয়ার বা ভয়ের পরিবেশ, উদাহরণস্বরূপ, অনেক বিনিয়োগকারীকে আতঙ্কিত করে এবং তাদের ক্রিপ্টোকে বিক্রি করতে বাধ্য করে । এটি একটি সম্ভাব্য কেনার সুযোগ ।
যদিও গ্রীড বা লোভের সময়, বিপরীত । বিনিয়োগের সিদ্ধান্তে একটি নির্দিষ্ট বেপরোয়াতা বৃদ্ধি করে । সম্ভাব্য, এটি বাজার শীঘ্রই নিচে নেমে আসার একটি ইঙ্গিত ।
উপরের এই তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করে মার্কেটে ভাল একটি ক্রয় বা বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া যায় । আর এই তিনটি সূচকের কারনেই বর্তমানে মার্কেটে এই বুলিশ মুভমেন্টটি দেখা যাচ্ছে ।