আর্জেন্টিনায় চাকুরীজীবি এবং যারা দেশের বাইরে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে তাদেরকে বিটকয়েন তথা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বেতন দেয়ার অনুমতির জন্য একজন আর্জেন্টাইন সভাসদ এই সপ্তাহে একটি বিল উত্থাপন করেছেন।
আর্জেন্টিনার স্থানীয় মুদ্রা পেসো যেটির বর্তমান স্ফীতির হার প্রায় ৫০%। গত ১৮ মাসে পেসো $০.০২ থেকে দাম কমে নেমেছে $০.০০৬ এ। আর্জেন্টিনার মানুষের ক্রয়ক্ষমতা স্থিতিশীল রাখার জন্য বিধানসভার সদস্য হোসে লুইস র্যামন এই বিলটি উত্থাপন করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
২০১৯ সাল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া আর্জেন্টিনার নাগরিক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় করতে পারছেন না। ফলস্বরুপ, যারা বৈদেশিক মুদ্রায় বেতন পাচ্ছেন তারা বৈদেশিক মুদ্রাকে পেসোতে রুপান্তর করার জন্য বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এজেন্টের নিকট যাওয়া লাগছে। সেখানে আবার তারা মাসে সর্বোচ্চ ২০০ ডলার পেসোতে রুপান্তর করতে পারবেন, আবার এই রুপান্তরের জন্য সরকারকে দিতে হবে ৬৫% ট্যাক্স। যার কারনে তাদের বেতনের অনেক অংশ হারাতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এজেন্টগুলো বৈদেশিক মুদ্রা রুপান্তরে অন্যান্য ব্রোকার (স্প্যানিশ ব্রোকার dolar bolsa )থেকে প্রায় ৭৮% কম রেট দিচ্ছে বলে ইয়াহু নিউজের রিপোর্ট থেকে জানা যায়।
র্যামনের মতে, তার এই প্রস্তাবনা আর্জেন্টিনার নাগরিকদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে প্রভাবিত করবে।
ফলে আর্জেন্টিনার অনেক নাগরিক ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুকছে। বিশেষ করে তারা ডিএআই (DAI) স্থিতিশীল মুদ্রাটি ব্যবহারে ঝুকেছেন। স্থানীয় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ সাতশিট্যাঙ্গো, ডিক্রিপ্ট এবং রিপিওর মতে, এই বছরে এর ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ছয় গুণ। যেহেতু বৈদেশিক মুদ্রা পেসোতে রুপান্তর করতে অনেক খরচ পোহাতে হচ্ছে, তারা এখন ক্রিপোকারেন্সির দিকেই ঝুকছে কারণ স্থানীয় এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে তারা সহজেই পেসোতে রুপান্তর করতে পারছে এবং থাকছে না মুদ্রাস্ফীতির ভয়ও।