পেপাল তাদের একটি স্টেবলকয়েন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। যবে থেকে এই বিষয়টি তাদের মাথায় আসে,তারপর থেকে পেপাল বিটকয়েন ক্রয়বিক্রয় কে অনুমোদন দেয়।তাই এখন পেপাল একটি স্টেবলকয়েন তৈরির পরিকল্পনার কাজ করছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সী সেন্ট্রালাইজ পেমেন্ট সিস্টেমের জায়গা দখল করে নিবে, কেননা এতে হওয়া ট্রানজেকশনের খরচ কম এবং এতে কোনো ইন্টারমিডিয়ারী খরচ ও নেই।
ফলে বর্তমান সময়ে, অনেক প্রতিষ্ঠান ক্রিপ্টোকে তাদের পেমেন্ট সিস্টেম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছে।
আজ ই পেপাল কনফার্ম করে যে,তারা তাদের নিজেদের স্টেবল কয়েনের জন্য কাজ করছে,যেটাকে বলা হবে পেপাল কয়েন। ব্লুমবার্গ ই প্রথম খবরটি জানায়।
পেপাল ব্লুমবার্গে জানায় ” আমরা একটি স্টেবলকয়েন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছি”। ক্রিপ্টো এবং ডিজিটাল কারেন্সির সিনিয়র ভিপি হোসে ফার্নান্দেজ দা পন্টে ব্লুমবার্গে বলেন, ” আমরা এই বিষয়ে দক্ষ দের সাথে কাজ করে এগিয়ে যেতে চাই”
স্টেবল কয়েন হল এমন কারেন্সি যা স্থির মান বজায় থাকে।যেমন Tether(USDT) এবং UCDC মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের দিক থেকে ২ টি বৃহত্তর কয়েন, যেগুলোকে $1 বাজারমূল্য অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়েছে। এগুলো এমন একটি ব্লকচেইনভিত্তিক প্লাটফর্ম, যেটি দ্বারা রেগুলার/ প্রচলিত মুদ্রাকে পরিহার করা সম্ভব।কেননা এই কয়েন গুলোর মান সবসময় বজায় থাকে।
এত বড় কোম্পানি হিসেবে, পেপাল ক্রিপ্টোকারেন্সী জগতে অনেকটা দূর এগিয়েছে। ২০২০ এ, এটি ইউজারদের, বিটকয়েন এনং ইথেরিয়ামের মত ডিজিটাল এসেট কেনা,বেচা এবং হোল্ড করার অনুমোদন দিয়েছে। তারপর এটি,এটির সহায়ক সংস্থা Venmo তৈরী করেছে এবং ব্যবসায়ীদের পে করার জন্য চেকআউট উইট ক্রিপ্টো (Checkout with Crypto) নামে একটি ফিচার তৈরী করেছে।
ক্রিপ্টো স্ট্রেটেজীর অংশ হিসেবে এটি প্যাক্সোসের সাথে পাটনারশিপ করেছে।এটি একটি ফিনটেক স্টার্টআপ যা প্যাক্স ডলার স্টেবলকয়েন (USDP) ইস্যু করে।
CoinGecko মতে, USDP এর মার্কেট ক্যাপ দাড়িয়েছে $১.০৫ বিলিয়নে, যা গতবছরের প্রায় $৫০০,০০০ থেকে বেড়েছে। অন্যদিকে USDT মার্কেট ক্যাপ $৭৯.২ বিলিয়ন,যা এক বছর আগে $২৩.৫ ছিল।
বর্তমানে পেপালের মার্কেট ক্যাপ $২২০ বিলিয়ন। তাই এটির নিজস্ব স্টেবলকয়েন অবশ্যই ভ্যালুয়েবল হবে।