তুর্কির ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ থোডেক্স এর সি.ই.ও সম্প্রতি নিখোজ হয়ে গেছেন যার কারনে এই এক্সচেঞ্জের অনেক ব্যবহারকারী তাদের ফান্ড নিয়ে অনেক চিন্তিত। সম্প্রতি থোডেক্স এক্সচেঞ্জ সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উক্ত এক্সচেঞ্জের দেয়া তথ্য মতে তাদের কোম্পানির একাউন্টে কিছু অস্বাভাবিক লেনদেন এর জন্য তারা এক্সচেঞ্জ বন্ধ করে রেখেছেন।
স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, থোডেক্স এক্সচেঞ্জের নির্মাতা, ফারুক ফাতিহ ওজার, বিনিয়োগকারীদের ২ বিলিয়ন সমমুল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আলবেনিয়ায় পালিয়ে গিয়েছে। ডেমিরোরেন সংবাদপত্র ফারুক ফাতিহর একটি ছবি প্রকাশ করেছেন যেখানে দেখা যায় সম্প্রতি সে ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট ত্যাগ করেছেন।
একজন আইনজীবী ফারুক ফাতিহর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং বলেছেন থোডেক্স এক্সচেঞ্জে প্রায় ৪ লক্ষ ব্যবহারকারী রয়েছে যার মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ব্যবহারকারী বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে যদিও সেটা থোডেক্স এক্সচেঞ্জ অস্বীকার করেছে এবনভ জানিয়েছে বর্তমানে তাদের এক্সচেঞ্জে ৩০ হাজার ব্যবহারকারী সক্রিয় রয়েছে।
অপর একটি স্থানীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুর্কির কর্তৃপক্ষ ফারুক ফাতিহর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় পুলিশ ইইস্তাম্বুল সহ ৮টি শহর থেকে ৬২ জন লোককে আটক করেছে। থোডেক্স এর অনেক ব্যবহারকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, তারা তাদের একাউন্টে প্রবেশ করতে পারছেন না এবং এক্সেচেঞ্জে থাকা তাদের অর্থ নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত। তুর্কির অনেক মানুষ সম্প্রতি তুর্কিশ লিরার স্ফীতিহ্রাসের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সিতে তাদের অর্থ বিনিয়োগ করেছেন।
ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি থোডেক্স নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক মিলিয়ন ডজকয়েন ফ্রিতে দেয়ার কথা বলেছে এবং তাদের মতে, তারা ৪ মিলিয়ন ডজকয়েন ফ্রিতে নতুন ব্যবহারকারীদের মধ্যে বন্টন করেছে যদিও অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন তারা কোন ফ্রি ডজকয়েন পান নি।
এইরকম ঘটনা নতুন নয়। গতবছর, একটি এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্টাতার রহস্যময় মৃত্যুর মধ্য দিয়ে উক্ত এক্সচেঞ্জের ব্যবকারীরা অনেক অর্থ হারিয়েছিল। এইটা একটা সতর্কতা সবার জন্য। এক্সচেঞ্জে কখনো বেশিদিনের জন্য ক্রিপ্টো রাখা যাবে না। মনে রাখবেন, “যদি আওঅঅনার কাছে প্রাইভেট কী না থাকে, আপনি ক্রিপ্টোর মালিক না।”