বেশকিছু দিন আগে থেকেই চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্রিপ্টো ফার্মগুলোতে হানা দিচ্ছে। সম্প্রতি তারা একটি ওয়েবসাইটের সন্ধান পায় যেখানে অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন হয়। সেটির সুত্র ধরেই তারা এই ১১ টি কোম্পানির সন্ধান পায় এবং তাদেরকে বহিষ্কার করে মুদ্রা আইন অনুসারে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ‘সাংহাই সিকিউরিটিজ জার্নাল’ অনুসারে, পিবিওসির শেনজেন শাখা সেই 11 টি কোম্পানিকে সংশোধন করার পরিকল্পনা করেছে যাদের উপর সন্দেহ ছিল “অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য”।
পিবিওসি সম্প্রতি ব্যাংক এবং অন্যান্য পেমেন্ট কোম্পানিগুলোকে ক্রিপ্টো-সম্পর্কিত ব্যবসা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
এই বছরের শুরুর দিকে, বিটকয়েন নেটওয়ার্কের বার্ষিক শক্তি খরচ ছিল 130 টেরাওয়াট-ঘন্টা। যা ৬১ মিলিয়ন পাউন্ড পোড়া কয়লার সমান এবং যা ৯ মিলিয়ন বাড়ির বার্ষিক বিদ্যুৎ খরচের সমান। এসব পরিবেশ বিরোধী প্রতিকুল অবস্থার জন্য সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
যেসব ফার্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেগুলো অবৈধভাবে সরকারের অগোচরে অবৈধ লেনদেন করে আসছিল। এছাড়া পরিবেশ দুষণে অতিরিক্ত কার্বণ নিঃসরণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের বিষয়টি উঠে আসে।
উল্লেখ্য মে মাসে চীন সরকার বিটকয়েন মাইনিং ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং ও লেনদেনে জড়িত প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।