Connect with us

বিটকয়েন

বিটকয়েন ওয়ালেট কি, হোল্ড করতে কোন ওয়ালেট ব্যবহার করা উচিত?

Published

on

অনেকেই সচরাচর প্রশ্ন করে থাকেন, দীর্ঘ সময় বিটকয়েন হোল্ড করার জন্য কোন বিটকয়েন ওয়ালেট ব্যবহার করবেন কিংবা কোন ওয়ালেট ব্যবহার করলে ফান্ড চুরি হওয়ার সম্ভাবনা কম? এক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই পরামর্শ দেন কয়েনবেজ ওয়ালেট ব্যবহার করার জন্য কিংবা ব্লকচেইন ওয়ালেট যা প্রকৃতপক্ষে সঠিক নয়। তাহলে কোন ওয়ালেট ব্যবহার করবেন ? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আজকে আমাদের এই আর্টিকেল। আশা করি এইটা পড়া শেষে আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনার কোন ওয়ালেট ব্যবহার করা উচিত কিংবা কোন ওয়ালেট সবচেয়ে বেশি নিরাপদ।

বিটকয়েন ওয়ালেট এর ধরন

শুরুতেই আমি আমাদের ট্রেডিশনাল টাকা জমা রাখার কিছু ব্যাপার নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা বলি। আমরা সাধারনত ব্যাংকে টাকা জমা রাখি কিংবা নিজের কাছেই। আপনার নিজের কাছে টাকা থাকা মানে আপনি যখন ইচ্ছে টাকাটা খরচ করতে পারছেন। আপনার এখন টাকার দরকার, আপনি যেখানে জমা রেখেছেন সেখান থেকে আপনি চাইলেই টাকাটা নিয়ে খরচ করতে পারবেন। পক্ষান্তরে, আপনি যখন ব্যাংকে টাকা রাখবেন- আপনাকে ব্যাংকে যেতে হবে, চেক দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলতে হবে কিংবা এটিএম বুথে গিয়ে টাকা তুলে আনতে হবে। তারপর আপনি খরচ করতে পারবেন।
আবার ব্যাংকে টাকা রাখা মানে আপনি আপনার টাকা অন্য জনকে সংরক্ষণ রাখতে দিয়েছেন। এমনও হতে পারে সে ব্যাংক দেউলিয়া হতে পারে। কিংবা আপনার যে টাকা রেখেছেন সে টাকার উৎস সরকার কোন কারনে খতিয়ে দেখতে চাইছে। তখন আপনার ব্যাংক আপনার একাউন্ট হোল্ড করে দিল কিংবা লক করে দিল যতদিন ঝামেলা শেষ না হয়।

এতসব বলার অর্থ এই না যে আপনি ব্যাংকে টাকা না রেখে নিজের কাছে রাখবেন কিংবা বিটকয়েনে রাখবেন। এইটা এইজন্য লিখেছি যাতে আপনি বুঝতে পারেন নিজের কাছে টাকা রাখা আর অন্য মানুষের বা প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা জমা রাখার পার্থক্য এবং সুবিধা অসুবিধা।
এই যে নিজের কাছে টাকা রাখা কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে রাখা এইগুলাকে বলা হয় কাস্টোডিয়াল এবং নন-কাস্টোডিয়াল

কাস্টোডিয়াল বিটকয়েন ওয়ালেট

যেসব ওয়ালেটে আপনি আপনার বিটকয়েন অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে জমা রাখছেন, সেগুলো কাস্টডিয়াল ওয়ালেট। যেমন, আগের উদাহরণ থেকে বলা যায় ব্যাংক কাস্টডিয়াল ওয়ালেট। বিটকয়েন এর ক্ষেত্রে কাস্টডিয়াল ওয়ালেট হল- কয়েনবেজ। এ ছাড়াও যে কোন এক্সচেঞ্জকে আপনি যদি ওয়ালেট হিসেবে ব্যবহার করেন সেগুলোও কাস্টডিয়াল ওয়ালেট। যেমন- বাইন্যান্স, কুকয়েন, ওকেক্স ইত্যাদি। এইখানে আপনি যদি কাউকে বিটকয়েন পাঠাতে চান, তাহলে তাদের কাছে উইথড্র এর জন্য অনুরোধ করা লাগতেছে, তারপর তারা কিছু সময় পর পাঠাচ্ছে। আবার কখনো তাদের যদি কোন কিছুতে ঝামেলা মনে হয় তাহলে তারা আপনাকে আপনার ন্যাশনাল আইডি সহ অন্যান্য বৃত্তান্ত দিতে বলছে।

নন কাস্টোডিয়াল বিটকয়েন ওয়ালেট

নন-কাস্টোডিয়াল ওয়ালেট মানে হল আপনি নিজের পকেটে টাকা রাখছেন। যখন ইচ্ছে আপনি কাউকে দিতে পারছেন, কোন উইথড্র অনুরোধ করা লাগছে না কিংবা অপেক্ষা করা লাগছে না, আপনি সাথে সাথেই দিয়ে দিতে পারছেন। এইখানে সবকিছুর নিয়ন্ত্রন আপনার নিজের কাছে। বিটকয়েন এর জন্য এইরকম অনেক নন-কাস্টডিয়াল ওয়ালেট রয়েছে। যেমন- বিটকয়েন কোর, ইলেকট্রাম ওয়ালেট, হার্ডওয়্যার ওয়ালেট (লেজার, ট্রেজর, সেইফপাল) ইত্যাদি।

আমরা জেনে গেলাম কাস্টডিয়াল ওয়ালেট এবং নন-কাস্টডিয়াল ওয়ালেট কি এবং তাদের মধ্যে ব্যাসিক পার্থক্যগুলো কি। আপনি কোন ওয়ালেট ব্যবহার করবেন? আমি নন-কাস্টডিয়াল।
এখন আসি পরবর্তী স্টেপে। কারণ, নন-কাস্টডিয়ালে বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। এর মধ্যে, সাধারন ভাবে বলা যায়, হট ওয়ালেট এবং কোল্ড ওয়ালেট। চলুন জেনে নেয়া যাক কোনটি কেমন এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য কোন ওয়ালেট ব্যবহার করবেন আপনি।

হট ওয়ালেট

নাম শুনে কিছু বুঝেছেন কি? হট ওয়ালেট হল যেসব ওয়ালেট সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড সেগুলোই। যেমন, যে কোন সফটওয়্যার ওয়ালেট। ইলেকট্রাম ওয়ালেট কিংবা বিটকয়েন কোর কিংবা অন্য যে কোন ওয়ালেট যেগুলো ব্যবহার করতে সরাসরি ইন্টারনেট কানেক্ট করতে হয় । এইক্ষত্রে আপনি যদি নিরাপদ ডিভাইস ব্যবহার করেন রিস্ক কিছুটা কম থাকে তবে সেটা একেবারেই রিস্ক নেই বলা যায় না। যেহেতু আপনার ডিভাইস ইন্টারনেট এর সাথে ডিরেক্ট কানেক্টেড, আপনার ওয়ালেট হ্যাকও হতে পারে।

কোল্ড ওয়ালেট

কোল্ড ওয়ালেট মোটামুটি হ্যাক এর সম্ভাবনা খুবই কম। একেবারে রিস্ক নেই তা নয়। তবে যেহেতু আপনি আপনার এই ডিভাইস ইন্টারনেটের সাথে ডিরেক্ট কানেক্ট করছেন না, সেক্ষেত্রে রিস্ক অনেক কম। কোল্ড ওয়ালেট বলতে হার্ডওয়্যার ওয়ালেট কিংবা পেপার ওয়ালেটকে বোঝানো হয়। পেপার ওয়ালেট যদি আপনি অফলাইনে জেনারেট করেন তাহলে মোটামুটি রিস্ক নেই বললেই চলে। তবে যখন আপনি পেপার ওয়ালেট এর বিটকয়েন কাউকে পাঠাতে যাবেন তখন কিন্তু ঠিকই অনলাইনে যেতে হবে বা হার্ডওয়্যার ওয়ালেট এর ধারস্থ হতে হবে। হার্ডওয়্যার ওয়ালেট এর ক্ষেত্রে আপনি আপনার হার্ডওয়্যার ওয়ালেট দিয়ে ডিজিটালি একটা ট্রাঞ্জেকশন সাইন করেন যা অফলাইনে হয়ে থাকে এবং অন্য ডিভাইস দিয়ে সেটা রিলিজ করবেন। তাই বলা চলে এই ক্ষেত্রে রিস্ক অনেক কম।

এখন আপনি নিজেই আশা করছি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন বিটকয়েন ওয়ালেট সর্বোত্তম এবং দীর্ঘ সময় বিটকয়েন হোল্ড করার জন্য কোন ওয়ালেট বেস্ট হবে।

ট্রেন্ডিং পোস্ট

Copyright 2021-23. All rights reserved © coinalap.com

আমাদের সংবাদ সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন করুন।