ক্রিপ্টোকারেন্সির রাজা বিটকয়েন মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৩.৩% নিচে নেমে আসে। বিটকয়েন বর্তমানে প্রায় $৩৮.২১০ এ ট্রেডিং হচ্ছে। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্রিপ্টো বিধিনিষেধের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পর, এই বছরের মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন দাম। যদিও মঙ্গলবার BTC এর মূল্য $৪০,৮০০-এ উঠেছিল, তবে তা কিছুক্ষণ পরে আবার হ্রাস পায়।
বিটকয়েনের এই আকস্মিক মূল্য হ্রাসের পেছনে প্রধান কারণ অ্যামাজন। তারা যখন ক্রিপ্টোর সাথে সংযুক্ত একটি চাকরির বিজ্ঞাপন ঘোষণা করেছিল তখন BTC মূল্য সরাসরি বৃদ্ধি হতে শুরু করে। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পরে, অ্যামাজন যখন জানায় তারা BTC কে অর্থপ্রদানের পদ্ধতি হিসাবে গ্রহন করবে না তখন BTC এর মূল্য হ্রাস পেতে থাকে। অ্যামাজনের এই বার্তার পর BTC সহ ইথারের (Ether) মূল্যেরও হ্রাস ঘটে। ট্রেডিংভিউ এর তথ্যমতে বর্তমানে বিটকয়েনের মার্কেট ক্যাপ $৭৫১.৪১ বিলিয়ন।
এই সপ্তাহে ক্রিপ্টো মার্কেটে ঝুঁকির মাত্রা কিছুটা বেশি কারণ ফেডারেল রিজার্ভ বুধবার তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে যাচ্ছে। এরই সাথে টিথার(USDT) এক্সিকিউটিভদের দ্বারা সংঘটিত ব্যাংক জালিয়াতির বিষয়ে তদন্তের খবর ক্রিপ্টো স্পেসকে অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
আপরদিকে BTC-তে বিনিয়োগকারীরা মুদ্রাস্ফীতি, পরিবেশগত, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক নানান সমস্যার মুখে পড়ছে যা স্টক ও ক্রিপ্টো মার্কেট উভয়কেই অস্থিতিশীল করে রেখেছে। এরই সাথে এই বছরের মার্চ মাসে যে মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে তা ১৯৮১ সালের তুলনায় সবচেয়ে খারাপ মুদ্রাস্ফীতির হার।
বর্তমান মূল্য পরিসীমাকে বিটকয়েনের জন্য একটি মধ্যম স্থল হিসাবে ধরা হচ্ছে কারণ এর কার্যকারিতা নির্ধারণ করবে আগামী কয়েক দিন সবকিছু কীভাবে চলবে। এটা কি বুলিশ বা বিয়ারিশ হবে? এই পরিসরে BTC পারফরম্যান্স মানুষকে এটি কোথায় যাচ্ছে সে সম্পর্কে একটি সঠিক ধারনা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।