ফেডারেল প্রসিকিউটররা ফ্লোরিডার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে একজন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় $৩৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করেছে। সংস্থাটি বলছে, নেটফ্লিক্স, এইচবিও এবং উবার অ্যাকাউন্টের তথ্য সহ অন্যান্য জনপ্রিয় আনলাইন ভিত্তিক সেবা বিক্রি করার জন্য ডার্ক ওয়েব ও বিটকয়েনকে কাজে লাগান পার্কল্যান্ডের ওই বাসিন্দা ।
বাজেয়াপ্ত ক্রিপ্টো হোল্ডিংয়ের মূল্য প্রাথমিকভাবে $৪৭ মিলিয়ন ছিল কিন্তু গত ছয় মাসে ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম ওঠা নামা করার কারণে এর বর্তমান মূল্য $৩৪ মিলিয়ন ডলার। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস থেকে প্রকাশিত একটি সংবাদ অনুসারে, এটি মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজেয়াপ্তের ঘটনা।
ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এই অপরাধমূলক লেনদেনের সাথে জড়িত “দক্ষিণ ফ্লোরিডার নাগরিক” কে চিহ্নিত করেনি এবং সংস্থাটি কাউকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করছে কিনা তাও সংবাদ বিবৃতিতে ইঙ্গিত করা হয়নি।
২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ব্যক্তিটি ১০০,০০০ এর বেশি প্রতারনামূলক অনলাইন লেনদেন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
টাম্বলার এবং চেইন হপিং
সন্দেহভাজন ব্যক্তিটির তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে সে তখন তথাকথিত “টাম্বলার” ব্যবহার করে “চেইন হপিং” নামক একটি পদ্ধতির মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি পাচার করতো।
সংক্ষেপে, টাম্বলারগুলি ব্লেন্ডারের অনুরূপ সেবা প্রদান করে। এ সেবাগুলো মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি এর মালিকানা গোপন করতে ব্যবহার করা হয়। কেউ তাদের ক্রিপ্টোগুলো এই সেবা ব্যবহার করে একই ধরনের নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সির সাথে মিশ্রিত করে এলোমেলো ভাবে বিভিন্ন এড্রেসে পাঠাতে পারে।
চেইন হপিং ক্রিপ্টো অপরাধীদের ব্যবহৃত একটি বহুল প্রচলিত পদ্ধতি। এর মাধ্যমে অপরাধীরা দ্রুততার সাথে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে তাদের অর্থ স্থানান্তরিত করতে থাকে। ফলে এ অর্থের উৎস খূুজে বের করা কঠিন হয়ে যায়। এ কাজের জন্য অপরাধীরা অনেক সময় “মনেরো” এর মত প্রাইভেসি কয়েনগুলোকে ব্যবহার করে।