ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের ব্যাপার যখন আসে, তখন অবশ্যই অনেক বুঝে শুনে বিনিয়োগ করতে হয়। স্বল্প সময়ের বিনিয়োগে আপনি মোটামুটি চার্ট পড়েই হয়তবা ভালো প্রফিট বের করে নিতে পারবেন। যারা টেকনিক্যাল এনালাইসিস করতে পারে, তারা শর্ট ট্রেড করে মোটামুটি ভালো প্রফিট বের করতে পারে। তবে, যখন আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগের চিন্তা করছেন তখন আপনাকে অবশ্যই অনেকগুলো ফ্যাক্টর চিন্তা করতে হবে। অনেক গবেষণা করে আপনাকে বের করতে হবে সেরা প্রজেক্ট যেগুলো ভবিষ্যতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনি ৩টি কয়েন নিয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেল। আমি এই ৩টি কয়েন নিয়ে অনেক গবেষণা করেছি। আমার গবেষণা যারা ৩-৪ বছরের জন্য বিনিয়োগ করার চিন্তা করছেন তাদের এই ৩টি কয়েনের প্রতি অবশ্যই নজর রাখা উচিত এবং এইগুলো নিয়ে গবেষণা করা উচিত।
#৩ Render Token (রেন্ডার টোকেন)
রেন্ডার টোকেন ইথেরিয়াম ব্লকচেইনে ক্রিয়েট করা একটি জিপিউ রেন্ডারিং নেটওয়ার্ক যাদের মুল লক্ষ্য হচ্ছে যেসব আর্টিস্টদের জিপিউ কম্পিউট পাওয়ার দরকার এবং যাদের কাছে পর্যাপ্ত জিপিউ ভাড়া দেয়ার মত আছে তাদের একসাথে একত্র করে তাদের জিপিউ কম্পিউট পাওয়ার এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে এবং বিনিময়ে যারা কম্পিউট পাওয়ার ভাড়া দিবে তারাও পেমেন্ট পেয়ে থাকে। রেন্ডার এর এই প্রজেক্টি OTOY কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে যার সি.ই.ও জুলস উরবাছ। ২০০৯ সাল থেকে তার এই পরিকল্পনা যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে তিনি পাবলিক সেল তথা আই.সি.ও এর মাধ্যমে প্রজেক্ট বিল্ড করার জন্য টাকা উত্তোলন করেন। রেন্ডার টোকেনের আই.সি.ও মুল্য ছিল $০.২৫। বর্তমানে বিশ্বের অনেক মানুষ এই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করছেন।
আমাদের সম্ভাব্য মুল্য অতীতের মুল্যের সাথে সম্পৃক্ত। এইটা ১০০% নিশ্চয়তা দেয় না।
#২ PowerLedger (পাওয়ার লেজার)
POWR বা পাওয়ার লেজার ২০১৬ সালে ড. জেমা গ্রীন এবং জন বুলিচ এর দ্বারা শুরু করা হয়। পাওয়া লেজার একটি বিকেন্দ্রীভুত প্লাটফর্ম যা ইথেরিয়াম ব্লকচেইনের দ্বারা নির্মিত হয়েছে। এই প্রজেক্টের মুল উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন সম্পদ ট্রেড করা। সম্পদ বলতে বিশেষ ভাবে বিদ্যুৎ কে বুঝানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশগত পন্য ট্রেড এবং ট্রাকিং করা যাবে এই প্লাটফর্মের সাথে। ছোট একটি উদাহরন দিয়েও আমরা বুঝতে পারি। আপনার কাছে একটি সোলার প্যানেল আছে যেখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। আপনি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পাওয়ার লেজারের মাধ্যমে যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে বিক্রয় করতে পারবেন। পাওয়ার লেজারের প্রধান অফিস অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত। এছাড়াও বিশ্বের নানা প্রান্তে ১১টি দেশে তাদের ৩০ জন ক্লায়েন্ট রয়েছেন।
আমাদের সম্ভাব্য মুল্য অতীতের মুল্যের সাথে সম্পৃক্ত। এইটা ১০০% নিশ্চয়তা দেয় না।
#১ Enjin (ইনজিন)
ইনজিন টোকেন ইথেরিয়াম ব্লকচেইনের উপর নির্মিত একটি টোকেন যা মুল ত গেমিং সেক্টরকে ফোকাস করে নির্মাণ করা হয়েছে। ইনজিন মুলত একটি ব্লকচেইন বেজড গেমিং প্রোডাক্টের কোম্পানি। ইথেরিয়াম ব্লকচেইনের সাহায্যে গেম ডেভেলপাররা তাদের ইন-গেম প্রোডাক্টগুলো ইনজিন টোকেন এর মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারবে যা ইনজিন টোকেন এর একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। ইতিমধ্যে বেশকিছু গেমসে ইনজিন অনর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ইনজিন তাদের নিজস্ব ব্লকচেইন নিয়ে আসতে পারে, যদি তারা নিজেদের ব্লকচেইনে মুভ করে তাহলে সেটা হবে তাদের জন্য বিরাট এক মাইলফলক। ২০১৭ সালে আই.সি.ও এর মাধ্যমে তারা এই প্রজেক্টের শুরু করে।
আমাদের সম্ভাব্য মুল্য অতীতের মুল্যের সাথে সম্পৃক্ত। এইটা ১০০% নিশ্চয়তা দেয় না।
আমাদের উপরের গবেষণা একান্তই আমাদের ব্যক্তিগত মতামত। বিনিয়োগ করার পুর্বে অবশ্যই আপনি নিজে গবেষণা করে দেখুন। আপনার লাভের অংশ যেমন আমরা নিতে পারব না, আপনার বিনিয়োগে লস হলে সেটাও আমরা বহন করব না। আপনাকেই বহন করতে হবে। ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগে একটা কথা মনে রাখবেন, “শুধুমাত্র যতটুকু লস হলে আপনার কোন সমস্যা হবে না সেটাই বিনিয়োগ করুন, তার বেশি নয়।”