রাশিয়ার রাস্ট্রপতি পুতিন বলেছেন বিটকয়েন মাইনিংয়ে রাশিয়ার ‘প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা’ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সপ্তাহে বলেছে, বিটকয়েন মাইনিং নিষিদ্ধ করা উচিত। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পুতিন মনে করেন রাশিয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করে দেশের জন্য ভালো সুবিধা আনতে পারে
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন আজ বলেছেন যে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং এর ক্ষেত্রে রাশিয়ার “কিছু প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা” রয়েছে, একটি সরকারি ওয়েবসাইটে এই তথ্যটি পোস্ট করা হয়।
সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয় হতে জানা যায় “এই প্রযুক্তির উন্নয়নে অবশ্যই অনুমতি দেওয়া দরকার”—এবং এও বলা হয় ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
গত সপ্তাহে, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েন মাইনিং এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির সকল ট্রানজেকশনকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল।
“ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব মতামত রয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ধরণের কার্যকলাপের সম্প্রসারণে ( ক্রিপ্টোকারেন্সী মাইনিং) বেশ ঝুঁকি রয়েছে। এটি দেশের নাগরিকদের উচ্চ অস্থিরতা তৈরী করতে পারে। কিন্তু এই বিষয়ের অন্যান্য কিছু সুবিধার প্রেক্ষিতে,” রাষ্ট্রপতি পুতিন বুধবার সরকারি সদস্যদের সাথে একটি ভিডিও কলে বলেন।
তিনি বলেন,এতে আমাদের কিছু প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা রয়েছে, বিশেষ করে মাইনিং এর ক্ষেত্রে। তিনি বলেন যে দেশের অতিরিক্ত বিদ্যুতের সুব্যবহার হবে এবং পাশাপাশি দেশে প্রশিক্ষিত নাগরিক পাওয়া যাবে।”
ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং হল ব্লকচেইনের ট্রানজেকশন যাচাই করার প্রক্রিয়া এবং শক্তিশালী কম্পিউটার ব্যবহার করে নতুন কয়েন বা টোকেন তৈরি করার প্রক্রিয়া। বিটকয়েন মাইনিং এমন একটি প্রক্রিয়া যা প্রচুর শক্তি ব্যবহার করে এবং মাইনিং করতে অনেক ব্যয়বহুল মেশিনের প্রয়োজন হয়।
রাশিয়ান বিটকয়েন মাইনাররা, বিটকয়েন নেটওয়ার্কে কম্পিউটিং শক্তির ১০% এরও বেশি প্রদান করে তবে দেশটির কর্তৃপক্ষ বারবার এই মাইনিং শিল্পের উপর বিধিনিষেধের কথা বলছে। চীন, যেই দেশটি এক সময়ে বিশ্বের বেশিরভাগ বিটকয়েন মাইনিং এর অধিপতি ছিল, সম্প্রতি পরিবেশগত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে মাইনিং কে নিষিদ্ধ করেছে। বিটকয়েন মাইনিং এর উপর চীনের নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বের অন্যান্য অংশে মাইনারদের ব্যাপক অভিবাসন হয়েছে।ফলে চীনা মাইনার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্থানান্তরিত হয়ে গিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি পুতিন গতকাল বলেন তিনি রাশিয়ান সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে এই সমস্যা সম্পর্কে কথা বলবেন এবং সবাই মিলে একমতে পৌঁছাতে চান।
রাশিয়ান সরকার ২০১৯ সাল থেকে বিটকয়েনের দিকে নজর দিচ্ছে বলে জানা গেছে৷ কিন্তু সরকার আসলে কোনো বিটকয়েন কিনছে কিনা সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য নেই৷