গত কিছুদিন ধরেই আমরা দেখে আসছি বিটফাইনেক্সের ২০১৬ সালে হ্যাক হওয়া বিটকয়েন জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইলইয়া লিচ্যানস্টেন এবং হিদার মর্গান নামক এক দম্পতি থেকে এই বিটকয়েন জব্দ করা হয়। তারা তাদের প্রায় ২০০০ বিটকয়েন এড্রেস এবং তাদের প্রাইভেট কী ক্লাউড এ সংরক্ষণ করেছিল কিন্তু কর্তৃপক্ষ অনুমতি সাপেক্ষে সেগুলো খতিয়ে প্রায় ২০০০ বিটকয়েন এড্রেসের প্রাইভেট কী খুজে পায় এবং উক্ত বিটকয়েনগুলো জব্দ করে।
কি হবে জব্দকৃত বিটকয়েনের?
জব্দকৃত বিটফাইনেক্সের ১১৯৭৫৪ বিটকয়েন কি করবে যুক্তরাষ্ট্র? এমনটা অনেকেই চিন্তা করছেন। সাধারন ভাবে চিন্তা করলে আমরা বলে দিতেই পারি এইগুলো বিটফাইনেক্সের বিটকয়েন, তাদেরকে ফেরত দেয়া হবে। তবে অনেকেই বলছেন তার উলটো। তাদের ধারনা এবং পুর্ব অভিজ্ঞতা মতে, যুক্তরাষ্ট্র এই বিটকয়েনগুলো বিটফাইনেক্সকে ফেরত দেয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্র এইরকম জব্দকৃত বিটকয়েন নিলামে বিক্রয় করার কথা জানা যায়। গতবছর তারা ০.৭৫ বিটকয়েন প্রায় ৫৩০০০ ডলারে বিক্রয় করে। এইটা ছাড়াও তারা ২০১৩ সালে সিল্করোডের জব্দকৃত ৬৯০০০ বিটকয়েনও নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয় যার প্রায় ৩০০০০ বিটকয়েন ক্রয় করেন টিম ড্রাপার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ধারনা করা হচ্ছে এইবারের জব্দকৃত বিটকয়েনগুলোও আসলে নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করে দিবে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে যেহেতু এইটা একটা এক্সচেঞ্জের ফান্ড, এইখানে ভিন্ন কিছুও হতে পারে যদিও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলছেন বিটফাইনেক্স ফেরত পাবেনা এইটা প্রায় নিশ্চিত।
কেন বিটফাইনেক্স ফেরত পাবে না বলে ধারনা করা হচ্ছে?
অনেকেই ধারনা করছেন পুর্বের ন্যায় যুক্তরাষ্ট্র এইবারও এই কয়েনগুলো নিলামে বিক্রয় করবেন। একটা কথা আপনাদের অবশ্যই জানা উচিত যে ইলইয়া লিচ্যানস্টেন এবং হিদার মর্গান কিন্তু বিটফাইনেক্সের বিটকয়েন হ্যাকিং করার জন্য অভিযুক্ত নন। বরং, তারা বিভিন্ন ধরনের মানি লন্ডারিং কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ সাপেক্ষে তদন্ত করা হয় এবং বিটফাইনেক্সের হ্যাকিং এর সাথে জড়িত হওয়ার ঘটনা ওইখান থেকে উঠে আসে। ওই দম্পতি বিভিন্ন ইলিগ্যাল সাইটে লেনদেনসহ অনেক ধরনের মানি লন্ডারিং এর জড়িত ছিল বলেই তাদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তদন্ত করে এবং সে অনুযায়ীই তাদের শাস্তি হবে।