আমেরিকার বিচার বিভাগ আজকে সতীশ কুম্বানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন। তারা জানান সতীশ কুম্বানি এবং তার সহযোগীরা বিটকানেক্ট ক্রিপ্টো পাঞ্জি স্কিমের মাধ্যমে গ্রাহকদের থেকে প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেন।
বিচার বিভাগ আজকেই এই তথ্য প্রকাশ করেন। তারা দাবী করেন, বিটকানেক্ট এর প্রতিষ্ঠাতা এবং তার সহযোগীরা মিলে বিটকানেক্ট প্লাটফর্মের মাধ্যমে ২.৪ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেন এবং সেটা নিয়ে নানারকম হেরফের করেন।
কুম্বানি চরম বিপদে
বিচার বিভাগ আরো দাবী করেন যে কুম্বানি আসলে বিভিন্ন ধরনের প্রতারনা, বিভিন্ন ক্রিপ্টোর দাম নিয়ন্ত্রণ, লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা এবং মানি লন্ডারিং এর সাথে জড়িত।
অভিযোগে আরো বলা হয়, বিটকানেক্ট একটি পাঞ্জি স্কিম। এইটার মাধ্যমে তারা তাদের প্রথমদিকের বিনিয়োগকারীদের পেমেন্ট করেছিল। তবে সেটা কোন প্রফিটের টাকা থেকে নয়। যারা নতুন বিনিয়োগ করেছিল, তাদের টাকা থেকেই পুরাতন বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল।
এছাড়া সতীশ কুম্বানি বিটকানেক্টকে “লেন্ডিং প্ল্যাটফর্ম” হিসেবে বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরলেও আসলে এইটা লেন্ডিং প্ল্যাটফর্ম ছিল না। মুলত তারা বিটকানেক্ট ট্রেডিং বট এবং অন্য একটি ভোলাটিলিটি সফটওয়্যার প্রমোট করছিল।
কুম্বানি বলেন, আমাদের ট্রেডিং বট এবং ভোলাটিলিটি সফটওয়্যার দিয়ে প্রফিট জেনারেট করা সহজ ছিল।
অভিযোগে আরো বলা হয়, বিটকানেক্ট ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম নিয়েও কুম্বানি অনেক কারসাজি করেছেন। তারা নিজেরাই মার্কেটে নকল চাহিদা সৃষ্টি করেছেন বলে জানানো হয়। তারা বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট, এড্রেস ব্যবহার করে এইসব কারসাজি করেছেন।
বিটকানেক্ট একটি লেন্ডিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ২০১৬ এর যাত্রা শুরু করে। তারপর তারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণ শিলিং করে। ফলস্বরুপ, ২০১৭ সালের ডিসেম্বারে তাদের একটি কয়েনের দাম হয় সর্বোচ্চ ৪৬৩ ডলার যা বর্তমানে মাত্র ০.৬৭ ডলারে আছে।
বিটকানেক্ট এর দাম ২০১৭ সালের শেষের দিকে কমতে থাকে। তাদের এইরকম স্ক্যাম ব্যবসায়িক কাজ কারবার দেখে যখন তাদের সেবা বন্ধের কথা বলে তখনই মুলত বিটকানেক্ট এর দাম কমতে থাকে। বিটকানেক্ট যখন বন্ধের ঘোষনা করা হয়, তখন লোকজনকে তাদের আমানত বিটকয়েনে না দিয়ে বিটকানেক্ট এ পরিশোধ করেছিল তারা।
সবদিক বিবেচনা করে যদি শাস্তি দেয়া হয় তাহলদ কুম্বানিকে প্রায় ৭০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে।