২৮ মার্চ ২০২২, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় এমপি ফকরুল ইমাম তার এক বক্তব্যে ডিজিটাল মুদ্রা বিষয়ক আইন নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি তার বক্তব্যে ইলেক্ট্রনিক মুদ্রা বিষয়ক “পেমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম আইন ২০২২” আইনটির ব্যাপারে কথা বলেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন,” সারা বিশ্বে ইলেক্ট্রনিক কারেন্সির তিনটা ধাপ আছে যেগুলো ভার্চুয়াল কারেন্সি, ডিজিটাল কারেন্সি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে পরিচিত। এর মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি অনেকগুলো ভাগে বিভক্ত এবং বিটকয়েন এরকমই একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি যার বর্তমান মূল্য ৪২ লাখ টাকারও বেশি।”
তার মতে, উপরে উল্লেখিত আইনটির মাধ্যমে বুঝা যায় যে ডিজিটাল কারেন্সি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি এদেশে প্রচলিত হবে।
তিনি এসময় বর্তমানে প্রচলিত কাগজে মুদ্রা এবং ডিজিটাল কারেন্সির মধ্যে পার্থক্য করে বলেন, “বর্তমানে আমরা যে লিগ্যাল টেন্ডার বা ক্যাশ ব্যবহার করি তার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটা জামানত থাকে। কিন্তু ডিজিটাল কারেন্সির ক্ষেত্রে এরকম কোন জামানত বা নিয়ন্ত্রকের প্রয়োজন পড়ে না।”
এসময় তিনি ডিজিটাল কারেন্সির সমালোচনা করে বলেন, ডিজিটাল কারেন্সি সাধারণত জুয়া খেলায় অর্থ লেনদেন, অর্থ পাচারের মত অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হয়।
“পেমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম আইন ২০২২- তে ডিজিটাল কারেন্সিকে “ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সার্বজনীন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আইন স্বীকৃত মুদ্রার বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রবর্তিত ইলেক্ট্রনিক মুদ্রা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।”
এর আগে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক সকলকে ভার্চুয়াল কারেন্সি বিটকয়েন, ইথারিয়াম, লইটকয়েন ট্রেডিং করা থেকে বিরত থাকতে বলেছিলো এবং এখনও বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনকে অনুমোদন করেনা।