জানা গেছে এটি সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে তাদের NFT প্রদর্শন করার জন্য পরিকল্পনা করছে।
বহুমাত্রিক প্রযুক্তির সমষ্টি মেটা ননফাঞ্জিবল টোকেন (NFTs) নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছে, যা ইউজারদের তাদের Facebook এবং Instagram প্রোফাইলে তাদের NFT প্রদর্শন করতে দেবে। প্রতিবেদন অনুসারে, মেটা বর্তমানে প্রোটোটাইপে কাজ করছে যা ইউজারদের নিজেদের সংগ্রহে থাকা টোকেনকে মিন্ট করতে দেয়।
মেটা এমন একটি মার্কেটপ্লেস চালু করার বিষয়েও আলোচনা করছে যেখানে NFT-এর ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারিত হয়ে লক্ষ লক্ষ NFT উৎসাহীকে এক্সাইটেড করতে পারে,যদিও সকল প্রকল্পই এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং যেকোনো মুহূর্তে পরিকল্পনা সেই অনুযায়ী পরিবর্তিতও হতে পারে৷
আলোচনা মোতাবেক মেটার প্রকল্পগুলোকে বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য আরও কর্মীদের মেটার আন্ডারে নিয়োগ দেয়া হয়। ১২ ই জানুয়ারীতে, মেটা আরও কর্মচারী নিয়োগের জন্য কাজ শুরু করেছিল এবং প্রায় একশ জনের মত কর্মী মাইক্রোসফ্ট থেকে চলে এসেছিল। এদিকে, মেটার দিকে কর্মীদের চলে যাওয়া এড়াতে, অ্যাপল স্টক বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে $৫০,০০০ থেকে $১৮০,০০০ পর্যন্ত বোনাস অফার করেছে।
গত বছর, সংস্থাটি একটি মেটাভার্স তৈরি করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে যা শারীরিক এক্সপেরিয়েন্সকে অনলাইনে সোসিয়াল এক্সপেরিয়েন্সের সাথে একীভূত করবে। কোম্পানি হ্যাপটিক গ্লাভসের প্রিভিউ রিলিজ করেছে যা ভবিষ্যতের মেটাভার্স ব্যবহারের জন্য রোল আউট হতে পারে।
রিলেটেড: ফেসবুকের কেন্দ্রীভূত মেটাভার্স বিকেন্দ্রীভূত বাস্তুতন্ত্রের জন্য হুমকি?
NFT বিশ্বে পটেনশিয়াল উপার্জনকে ইগনোর করা অসম্ভব হয়ে উঠছে। ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছ যে ট্রেডিশনাল ব্র্যান্ডগুলি NFT নিয়ে কাজ শুরু করবে এবং ক্রিপ্টো মার্কেটে কীভাবে উপার্জন করা যায় তা খুজতে থাকবে।
সম্প্রতি, নেতৃস্থানীয় NFT মার্কেটপ্লেস Opensea মাসিক লেনদেন $৩.৫ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। এর মানে হল শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্মের মধ্যেই NFT ট্রেডিংয়ে প্রতিদিন $১৬৯ মিলিয়নের বেশি খরচ হচ্ছে। NFT সেলস ট্র্যাকিং পরিসংখ্যান অনুসারে, NFT মার্কেটে এখন পর্যন্ত সর্বকালের সর্বোচ্চ বিক্রয় হয়েছে মোট $২৫ বিলিয়ন ।