বিটকয়েন ২০১৭ সালের পর ২০২১ সালে এসে অনেক বড় পাম্প হয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ হুবির সহ প্রতিষ্ঠাতা ডু জুন এর মতে ২০২৪ সালের শেষে কিংবা ২০২৫ এর শুরুতে আমরা হয়ত পরবর্তী বুলরান দেখতে পারবো। এর আগে আর কোন বুলরান না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি CNBC কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন যে বিটকয়েন এর বুলরান বিটকয়েন হাভিং এর সাথে জড়িত থাকতে দেখা গিয়েছে পুর্বে। ২০১৬ সালের হাভিং এর পর ২০১৭ সালে বুল রান দেখা যায়। একই ভাবে ২০২০ সালের হাভিং এর পর ২০২১ সালে বুলরান দেখা যায়। বিটকয়েন এর পরবর্তী হাভিং ২০২৪ সালে। সে হিসেবে ২০২৪ এর শেষের দিকে কিংবা ২০২৫ সালের শুরুতে আমরা পরবর্তী বুলরান দেখার সম্ভাবনা বেশি।
হাভিং বলতে মাইনিং রিওয়ার্ড কে প্রতি চার বছর বা প্রতি ২১০০০০ ব্লক অন্তর অর্ধেক করাকে বোঝায়। বিটকয়েন এর শুরুতে মাইনাররা প্রতিটা ব্লক খুজে পেলে রিওয়ার্ড হিসেবে ৫০ বিটকয়েন পেত যা ২০১২ তে এসে ২৫ বিটকয়েন প্রতি ব্লক হয়ে যায়। ক্রমান্বয়ে, ২০১৬ তে ১২.৫ এবং ২০২০ এ ৬.২৫ বিটকয়েন হয়ে গিয়েছে। এইটাকে বিটকয়েন হাভিং বলা হয়।
ডু জুন মুলত এই হাভিং এর সাথে বিটকয়েন এর দাম এর সম্পৃক্ততার কথা বলছেন। অবশ্য এইটা অনেকটা যুক্তিসঙ্গত বটে। হাভিং এর পর মার্কেট এ সাধারনত সাপ্লাই এর কমতি দেখা যায় কিছু সময়ের জন্য। মাইনাররা আগের মত বিটকয়েন মার্কেট এ সরবরাহ করতে পারে না। ফলস্বরূপ, দাম বৃদ্ধি পায় অনেক।
তবে ডু জুন আরো কিছু ব্যাপারও বলেছেন। তিনু বলেন, “বিটকয়েন রর দাম অনুমান করা আসলে অনেক কঠিন। হাভিং এর পরে সাধারণত দাম বৃদ্ধি পায় তবে এইটা ছাড়াও অনেক ফ্যাক্টর আছে যেগুলো মার্কেটকে প্রভাবিত করতে পারে যেমন- কোভিড, যুদ্ধ ইত্যাদি।”
বর্তমানে বিটকয়েন প্রায় তার অল টাইম হাই থেকে ৪৫% এর মত কম আছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে ভয় ঢুকছে। তারা মনে করছে হয়ত দীর্ঘ সময়ের জন্য মার্কেটে মন্দা থেকে যাবে। আর সেটাই যদি হয় তাহলে আমরা বুল মার্কেট থেকে অনেক দূরে।