ক্রিপ্টো আসলেই টাকা লুকিয়ে রাখা এবং নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য একটি খারাপ হাতিয়ার।
ইউক্রেনকে রাশিয়ার করা আগ্রাসনের কারনে , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ান সরকারকে (স্বয়ং রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন সহ), ধনী ব্যক্তি এবং ক্রেমলিনের সাথে জড়িত রাশিয়ান ব্যবসায়ীদের কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পরপরই, সেন. এলিজাবেথ ওয়ারেন (D-MA) নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি চাঞ্চল্যকর আর্টিকেল পুনঃটুইট করেছেন, এবং বলেছেন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা যেতে পারে৷ তারপরে, একটি চিঠিতে, ওয়ারেন ডিজিটাল এসেটের আরো ” খোজ” বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
নিষেধাজ্ঞা মার্কিন ব্যক্তিদের ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেনের উপর আইনি বিধিনিষেধ আরোপ করে। মার্কিন ব্যক্তিরা যাতে তাদের লেনদেন না করে, সেই ব্যাপারেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ডিজিটাল এসেট এই নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে পারে, যা একটি হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে,যাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তাদের কার্যকলাপ প্রকাশ না পায় এবং সকলের সাথে তারা লেনদেন করতে পারে৷
বারবার চেষ্টা এবং নিখুত যাচাই-বাছাই সত্ত্বেও, ক্রিপ্টো লেনদেন কিংবা এসেট ট্রেস করা যায়না। মার্কিন সরকার এবং অন্যান্য উপায়ে অনুমান করা যাচ্ছে যে অবৈধ এসেট- পরিমাণে এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি।
ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি অবৈধ ট্রানজেকশনপর জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে — এমনকি সকল প্রকার নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিয়ে ও।কিন্তু আসলেই কি তাই? এসব ট্রানজেকশন কেও ট্রেস করা সম্ভব।
সেটা কিভাবে ? উত্তরটি – পিয়ার-টু-পিয়ার ডিজিটাল ট্রানজেকশন কিভাবে হয় এবং এটির তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা হয় তার সাথে সম্পর্কিত। বিশেষ করে, ব্লকচেইন ট্রানজেকশনের একটি স্থায়ী এবং অপরিবর্তনীয় রেকর্ড তৈরি করে।যা থেকে সহজেই ট্রানজেকশন ট্রেস করা যায়।
এটি কিভাবে অপরাধীদের ধরিয়ে দেয় তার উদাহরণ প্রচুর। গত কয়েক সপ্তাহে, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুটি ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাক, বিটফাইনেক্স হ্যাক এবং দ্য ডিএও হ্যাক হয়েছে, যেগুলো, অন-চেইন ডেটা বিশ্লেষণ করে সমাধান করা হয়েছে। হ্যাকারদের খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা আইন প্রয়োগকারীর কাছে-এবং ইন্টারনেট সংযোগ সহ অন্য যেকোনো কারো কাছে যারা ব্লকচেইন নোড হিসেবে কাজ করে তাদের কাছে পাওয়া যাবে।