ডোজকয়েনের দাম অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে গত কয়েকমাস। খুব বেশি উঠানামা দেখা যায় নি এই কয়েনের দামে। তবে, ডোজকয়েনের দামের এমন স্থিতিশীলতা ইঙ্গিত দিচ্ছে দামের অস্বাভাবিক উঠানামার। টেকনিক্যাল এনালাইসিসের অন্যতম পরিচিত টুলস/ইন্ডিকেটর বলিঞ্জার ব্যান্ড অনুসারে, শীঘ্রই দেখা যেতে পারে ব্যাপক পরিবর্তন।
বহুল জনপ্রিয় মিম টোকেন ডোজকয়েন। দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য এইটা অনেক বেশি পরিচিত ক্রিপ্টো কম্যুনিটির কাছে। কিন্তু এইবছর এর দামে খুব বেশি পরিবর্তন দেখা যায় নি। বিটকয়েন এবং ইথেরিয়ামের দামে যেমন পরিবর্তন দেখা গিয়েছে, তার সিকি ভাগও দেখা যায়নি ডোজকয়েনের দামে। টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর বলিঞ্জার ব্যান্ড এর এনালাইসিস অনুযায়ী, ডোজকয়েনের দামের এমন নাজুক অবস্থা আসলে ঝড়ের আগের নিস্তব্ধ থাকা অবস্থার মতই।
বলিঞ্জার ব্যান্ড নামের এই টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর ৩টা অবস্থা বিবেচনা করে স্টক কিংবা ক্রিপ্টোকারেন্সির দামের গতি কোন দিকে যেতে পারে সেটার পূর্ভাবাস দেয়। একটা নির্দিষ্ট সময়ে একটা স্টক কিংবা ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম কতটুকু উপরে উঠেছে, কতটুকু নেমেছে এবং উক্ত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিম্পল মুভিং এভারেজের হিসেবের মাধ্যমে দামের গতিবিধি কোন দিকে যেতে পারে তা অনুমান করতে সহায়তা করে বলিঞ্জার ব্যান্ড ইন্ডিকেটর। তবে, এইখানে একটা কথা কখনোই ভুলে গেলে চলবে না যে, একটা ইন্ডিকেটর কখনোই আপনাকে সঠিক ফলাফল দেবে না।
বলিঞ্জার ব্যান্ডের তিনটা লাইন (উপরের, নিচের এবং সিম্পল মুভিং এভারেজ) যদি একটা থেকে আর একটা অনেক দূরে হয়ে বা একটার সাথে একটা স্প্রেড যদি অনেক বেশি হয়, তাহলে ধারণা করা যেতে পারে মার্কেটের বিয়ারিশ (নিন্মগতি) কিংবা বুলিশ (উর্ধ্বগতি) ট্রেন্ডের অবসান হবে। কিন্তু পক্ষান্তরে, যখন বলিঞ্জার ব্যান্ডের তিনটা লাইন খুবই সন্নিকটে চলে আসে, তখন ধারণা করা হয় মার্কেট আসলে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাবে। খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখানোর মানে এই না যে মার্কেট উর্ধ্বগতিতে যাবে, উর্ধ্বগতি কিংবা নিন্মমুখী যে কোন একদিকে যেতে পারে। তবে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায় যে দাম খুব বেশি কমে যাওয়ার কিংবা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ডোজকয়েনের বর্তমান দামের চার্টের দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে বলিঞ্জার ব্যান্ডের তিনটা লাইন বর্তমানে খুবই সন্নিকটে অবস্থান করছে। এর মানে, খুব শীঘ্রই দামে বিশাল একটা পরিবর্তন দেখা যেতে পারে, সেটা হতে পারে যে কোন দিকেই; উর্ধ্বমুখী কিংবা নিন্মমুখী।
এই আর্টিকেল লেখার সময় ডোজকয়েনের দাম $০.০৭২ আছে। ২০২৩ সালে ডোজকয়েনের মূল্য এখন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে শুধুমাত্র ৩%। পক্ষান্তরে, বিটকয়েন এবং ইথেরিয়াম এর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৬৮% এবং ৬০%। বর্তমানে, ডোজকয়েনের মার্কেট ক্যাপিটাল ১০.২২ বিলিয়ন ডলার প্রায় যা মার্কেটে ৮ম অবস্থানে রয়েছে।
বিঃদ্রঃ আমাদের এই আর্টিকেল কোনভাবেই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ উৎসাহিত করে না। শুধুমাত্র, তথ্য শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই আই আর্টিকেল লেখা। কেউ যদি আমাদের এই আর্টিকেল থেকে অনুপ্রানিত হয়ে ডোজকয়েনের বিনিয়োগ করে, আমরা, কয়েনআলাপ কোনক্রমেই যেমন তার লাভের অংশীদার হব না, ঠিক তেমনি কোনক্রমেই ক্ষতির ভাগীদারও হব না।