ব্লকস্ট্রিম এবং ব্লক যারা পূর্বে স্কয়ার নামে পরিচিত ছিলো, ঘোষনা করে তারা টেসলার সৌরশক্তি চালিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেক্সাসে তাদের বিটকয়েন মাইনিং কেন্দ্র গঠন করবে। তাদের তথ্যমতে মাইনিং কেন্দ্রের কাজ এই বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
ব্লকস্ট্রিম এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডাম ব্যাক বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে বিশাল পরিসরে বিটকয়েন মাইনিং যে সম্ভব তা এই মাইনিং কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রগুলোতে বিটকয়েন মাইনিং এর সার্বক্ষণিক আপডেট দেখার সু্যোগ-সুবিধা দেয়া থাকবে।
মাইনিং কেন্দ্রের বৈশিষ্ট্য:
মাইনিং কেন্দ্রগুলো টেসলার ৩.৮ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পূর্ন সোলার প্যানেল দ্বারা চালিত হবে এবং এর সাথে ১২ মেগাওয়াট ঘন্টার মেগাপ্যাক সরবরাহ করা হবে।
টেসলা তাদের ফটোভোলটাইক্স(photovoltaics) এবং মেগাপ্যাক ব্যাটারির সমন্বয়ে ১০০% সৌরশক্তির সাথে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ পেটাহ্যাশ (Petahashes) গতিতে মাইনিং চালাবে।
বিটকয়েন মাইনিং এখন পরিবেশবান্ধব:
বিটকয়েন মাইনাররা ক্রমান্বয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে তাদের ডিজিটাল সম্পদ মাইনিং করছে যার ফলে পরিবেশ দূষণ আগের থেকে অনেকটাই কমে এসেছে। এরই সাথে বিশ্বজুড়ে বিটকয়েন মাইনিং এ নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ১% থেকে ৫৮.৫% এ এসে দাঁড়িয়েছে।
এটা কি টেসলাকে আবার বিটকয়েন গ্রহনে উৎসাহিত করবে ?
জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কোম্পানি টেসলা গত বছর ১.৫ বিলিয়ন মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ ক্রয় করে। কোম্পানিটি অস্থায়ীভাবে তাদের ফ্ল্যাগশিপ সম্পদকে তাদের যানবাহনের জন্য অর্থপ্রদানের পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করেছে।
তবে পরবর্তীকালে টেসলা পরিবেশের কথা চিন্তা করে ডিজিটাল সম্পদের ব্যবহারকে বাতিল ঘোষনা করে। কিন্তু এখন প্রো-ক্রিপ্টো ফার্মগুলোর সহায়তায় এবং নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে বিটকয়েন মাইনিং এর মাধ্যমে হয়তো Elon Musk আবারো ডিজিটাল সম্পদ গ্রহন করবে বলে আশা করা যায়।