সম্প্রতি, ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে বলে দাবী করছেন সিআইডি। বিকাশ এবং নগদ ব্যবহার করে শতকোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে বলে দাবী করছেন তারা। যদিও এইটা সত্য যে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু সিআইডি দাবী করছেন এর বেশিরভাগ লেনদেন হচ্ছে দেশ থেকে টাকা পাচার এর উদ্দেশ্যে।
সম্প্রতি সিআইডি একটি অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে নাইম নামের এক ব্যক্তির ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের কিছু তথ্য তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, উক্ত ব্যক্তি গত ছয় মাসে ২৫ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যার বেশিরভাগ ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন বলে দাবী সিআইডির।
বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি খুব বেশি জনপ্রিয়তা এখনো পায় নি। দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনো ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান রাখেনা বললেই চলে। দৈনিক ইত্তেফাকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারী রয়েছে যদিও এর প্রেক্ষিতে তারা কোনরকম দলিল বা প্রমান সংযুক্ত করে নি। তবে, তাদের এই দাবী সত্য হতেও পারে কারন ২০২১ সালের বুলরানে বাংলাদেশে অনেক নতুন ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারী মার্কেটে প্রবেশ করেছে।
এছাড়াও দেশে বিভিন্ন জুয়ার সাইটের সহায়তায় অনেক বেশি মানি লন্ডারিং হচ্ছে বলে দাবী করে সিআইডি। অতীতে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা আসলেও বর্তমানে বিদেশ থেকে বেশি লেনদেন ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে হয় বলে ধারনা করছেন।
এই সংবাদে প্রকাশিত তথ্যসমুহ দৈনিক ইত্তেফাকের সংবাদ থেকে নেয়া। এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে, কয়েনআলাপ শীঘ্রই মানি লন্ডারিং এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি এই নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করবে যেখানে আমরা চেষ্টা করবো ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে কতটুকু মানি লন্ডারিং সম্ভব এবং বাংলাদেশে ক্রিপ্টোর সাহায্যে কি পরিমান মানি লন্ডারিং হচ্ছে তা তুলে ধরার।
আমাদের সংবাদ সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রামে যুক্ত থাকুন- https://t.me/coinalapnews