গাইডলাইন
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি? কিভাবে বিনিয়োগ করা যায়?
Published
2 years agoon
By
adminক্রিপ্টোকারেন্সি বর্তমান দুনিয়ায় অন্যতম হট টপিক। বর্তমানে বিনিয়োগ করার জন্য যেসব খাত রয়েছে তার মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা সবচেয়ে বেশি লাভজনক। গত ৫ বছর কিংবা ১০ বছর, যে হিসেবই করুন না কেন, দীর্ঘ মেয়াদে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে বেশি লাভ অন্য কোন বিনিয়োগ খাতে পাওয়া যায় নি; এমনকি স্বর্ণ থেকেও নয়। যার কারণে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ ঝুঁকছে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের দিকে। ক্রিপ্টোকারেন্সির বর্তমান চাহিদার কথা বিবেচনা করেই আমাদের এই আর্টিকেল। এই আর্টিকেল পড়ে আপনি জানতে পারবেন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি, ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ কিভাবে এবং কোথায় করা যায়। এছাড়াও, ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে কিছু অভিনব বিনিয়োগ এর মাধ্যম আমরা এইখানে তুলে ধরবো।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি
ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং কিংবা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার এর মাধ্যমে কোন ব্যবসা করাই আসলে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা। সেটা হতে পারে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে কোন পণ্য/সেবা বিক্রয়, ক্রিপ্টোকারেন্সির ডলার ক্রয়-বিক্রয় কিংবা ক্রিপ্টোকারেন্সি তে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ। এর সবই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার অংশ। এর আগে আমরা লিখেছিলাম বিটকয়েন ব্যবসা নিয়ে, সেখানে আমরা শুধু বিটকয়েনকে ঘিরে যেসব ব্যবসা রয়েছে সেগুলো নিয়েই আলোচনা করেছি যদিও দুইটাই প্রায় একই বলা যায়। মূল আলোচনায় ফিরে আসা যাক। আমরা এখানে পুরো ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে কিভাবে ব্যবসা করা যায় সে নিয়েই আলোচনা করবো।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা এর ধরন এবং বিস্তারিত
ক্রিপ্টোকারেন্সি জগত অনেক বিশাল। আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী যে কোন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমরা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সম্ভাব্য ব্যবসা এর আইডিয়া দিব এবং কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা করা যায় সে ব্যাপারে তথ্য দিব। ক্রিপ্টোকারেন্সির ধরন যেমন অনেক হয়, ঠিক তেমনি এইখানে ব্যবসায়িক ব্যাপারটাও বিশাল জগতের। একে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে। তবে, শুরুতেই বলে রাখি, আপনি যদি বিশ্বব্যাপী কোন কিছু চিন্তা করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনেক বড় ধরনের বিনিয়োগ নিয়েই শুরু করতে হবে। নিচে আমরা কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার উদাহরণ দিলাম।
ইনস্ট্যান্ট এক্সচেঞ্জ ব্যবসা
ইন্সট্যান্ট এক্সচেঞ্জ মানে ক্রিপ্টোকারেন্সি সোয়্যাপের সেবা প্রদান করা। মনে করুন- কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারীর কাছে কিছু পরিমাণ ইথেরিয়াম আছে। সে তার কাছে থাকা ইথেরিয়াম বিক্রয় করে বিটকয়েন নিতে চাচ্ছে। যদি সে কোন সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ যেমন- বাইন্যান্স, কুকয়েন ইত্যাদির মাধ্যমে ইথেরিয়াম এর বিনিময়ে বিটকয়েন পেতে চায় তাহলে বাইন্যান্স ট্রেডিং ফি এর পাশাপাশি বিটকয়েন উইথড্র এর জন্য একটা ফি রাখবে। ওইজন্য উক্ত ব্যবহারকারী চাচ্ছে এমন কোথাও এক্সচেঞ্জ করতে যেখানে তাকে উইথড্র এর জন্য এক্সট্রা কোন ফি দেয়া লাগবে না। এইখানেই ইন্সট্যান্ট এক্সচেঞ্জ কাজ করে। আপনি তাকে আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে বলে দিবেন কত ইথেরিয়াম পাঠালে সে কত বিটকয়েন পাবে। এইখানে আপনি যে এক্সচেঞ্জ করে দিচ্ছেন সেজন্য মার্কেট রেট থেকে একটু কম রেট আপনি দিবেন। মার্কেট রেটের সাথে আপনার রেটের পার্থক্যটাই আপনার লাভ। আমি এইখানে কেন একজন মানুষ ইন্সট্যান্ট এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করতে পারে তার একটি দিক তুলে ধরলাম। তবে, আরো অনেক কারণে মানুষ সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করে না। তার মধ্যে একটা বড় কারণ হচ্ছে সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ ব্যক্তিগত তথ্য দিতে ব্যবহারকারীদের বাধ্য করে থাকে। অনলাইনে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য দেয়া খুবই ভয়াবহ ব্যাপার যার কারণে তারা ইন্সট্যান্ট এক্সচেঞ্জের শরণাপন্ন হয়ে থাকে।
ইন্সট্যান্ট এক্সচেঞ্জের জন্য আপনার বিশেষ কোন লাইসেন্সের দরকার হবে না। যদিও যে কোন ধরনের অর্থ লেনদেনের জন্যই লাইসেন্স প্রয়োজন। যাই হোক, এই ধরনের ইন্সট্যান্ট এক্সচেঞ্জ অনলাইনে অনেক আছে যারা কোন ধরনের লাইসেন্স ছাড়াই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বলব আপনি লাইসেন্স করেই শুরু করুন। যেহেতু বাংলাদেশে বসে আপনি লাইসেন্স পাবেন না কারণ, বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ নয়, আপনি এমন একটা দেশ থেকে লাইসেন্স নিন যেগুলো খুবই ক্রিপ্টোকারেন্সি বান্ধব, যেমন- মাল্টা। লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে আপনি পরবর্তীতে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লোনের ব্যবসা
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লোনের ব্যবসা খুবই রমরমা। বাইন্যান্স কিংবা কুকয়েন থেকে শুরু করে অন্যান্য বেশিরভাগ সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জে পাবেন আপনি লোন দেয়া নেয়ার সুবিধা। সবচেয়ে বড় কথা এইখানে আপনার মূলধন খুব বেশির প্রয়োজন পড়ে না। সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জে লোনের সুবিধা ছাড়াও, অনেকগুলো ডিসেন্ট্রালাইজড ফাইন্যান্স ভিত্তিক লোন দেয়ার প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি স্মার্ট কনট্রাক্টের মাধ্যমে কোলাটেরাল বা জামানত নিয়েই লোন দিতে পারেন। আর সুদের হার আপনি ইচ্ছে অনুযায়ী, যদিও মার্কেটে অনেক বেশি টাকা ধার দেয়ার লোক থাকার কারণে বেশি সুদের হারে আপনি কাউকেই লোন দিতে পারবেন না।
এই দুইটা অপশন ছাড়াও, আপনি চাইলে বিটকয়েনটক ফোরামে বিশ্বস্ত লোকদের লোন দিতে পারেন চড়াসুদের বিনিময়ে। এই ফোরামটি অনেক পুরাতন একটা ফোরাম যা সাতোশি নাকামোতো বানিয়েছিলেন। বর্তমানে এইখানে অনেকেই লোন দিয়ে থাকে। চাইলে আপনিও শুরু করতে পারেন। তবে, নতুন মেম্বাররা যদি কোলাটেরাল বা জামানত নিজের কাছে রেখে লোন দিতে চায়, তাহলে সেক্ষেত্রে, জামানত সুরক্ষিত রাখার জন্য ফোরামের অন্য কোন বিশ্বস্ত মেম্বারের কাছ থেকে এসক্রো সেবা নেয়াটাই উত্তম।
এইখানে লোন দেয়া নেয়ার জন্য কোন ধরনের লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই কারণ আমরা প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের পরিচিতদের যেমন টাকা ধার দেই, ফোরামে লোন দেয়ার ব্যাপারটাও অনেকটা সেইরকম।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ডলার ক্রয় বিক্রয়
যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করে থাকে তাদের কাছে স্টেবলকয়েন তথা USDT, BUSD, DAI, USDC এইসব কয়েন/টোকেন এর মূল্য অনেক বেশি। আমরা জানি সকল ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম অনেক বেশি উঠানামা করে। যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করে তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের লাভ ক্ষতি হিসেব রাখার জন্য স্টেবলকয়েনে ট্রেডিং করে থাকে। এই ডলারের দামও আবার অনেক বেশি। বর্তমানে ১১৬ টাকার বেশি দাম। ক্ষেত্রবিশেষে এর দাম আরো অনেক বেশিও হয়ে যায়, বিশেষ করে যখন ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে অনেক বেশি দরপতন হয় তখন এইসব ডলারের দাম অনেক বৃদ্ধি পায়। আপনি চাইলে মার্কেট নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা করে কিছু স্টেবলকয়েন ক্রয় করতে পারেন এবং যখন দাম বৃদ্ধি পাবে, সেগুলো বিক্রয় করতে পারেন। এইসব ডলার ক্রয় বিক্রয় অনেক সহজ। আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্স এ একাউন্ট খুলতে হবে এবং সেখানে পিটুপি লেনদেনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি এইসব ডলার ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন।
ক্রিপ্টো পেমেন্ট প্রসেসর
বাংলাদেশে বর্তমানে অনেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পেমেন্ট করছে। সবাই এক জায়গায় এসে আটকে যায়, কোথায় ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় করব। যদিও বাইন্যান্স বর্তমানে ব্যাপারটা খুব সহজ করেছে, অনেকেই এই এক্সচেঞ্জ এর কথা জানে না। এছাড়া, বাইন্যান্সে বিটকয়েন ক্রয় করে কোথাও পেমেন্ট করার জন্য ফি লাগে অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে, এই সুবিধাটি আপনি প্রদান করতে পারেন। তার বিনিময়ে কিছু ফি নিবেন। এর জন্য আপনার একটা ওয়েবসাইট থাকার পাশাপাশি, আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাপারে একটু ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। এর বেশি কিছু নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে, এই সেবাটি সম্পূর্ণ নতুন এবং আশা করা যায় ভালো প্রফিট দিতে পারে এই ব্যবসা।
উপরে উল্লেখিত ব্যবসা ছাড়াও, ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতে রয়েছে আরো নানান ধরনের ব্যবসা। আপনি চাইলে একটা সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ খুলতে পারেন কিংবা একটা এন.এফ.টি মার্কেটপ্লেস। অনেকেই বর্তমানে মেটাভার্সের দিকে ঝুঁকছে। সেটাও করতে পারেন। তবে, সেক্ষেত্রে, আপনার বিনিয়োগ লাগবে অনেক বেশি আর সাথে থাকা লাগবে লাইসেন্স।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ ব্যবসা
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ বললে প্রথমেই চলে আসে ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং। যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং সম্পর্কে জানেন তাদের নতুন করে কিছু বলার নাই। তবে, আমি এইখানে ট্রেডিং না বলে একে স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ বলব কারণ এতে যারা নতুন তাদের বুঝতে সুবিধা হবে। ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের মানে হল ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় করা। তবে, এর বিভিন্ন ধরণ রয়েছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের ধরণ
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে। স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী। নিচে আমি এর বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ যদি অল্প কিছুদিনের জন্য হয়ে থাকে তবে সেটা স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ। আপনি চাইলেই এখন কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় করে ১০ মিনিট পর বিক্রয় করতে পারেন। এইখানে স্টক মার্কেটের মত ম্যাচুরিটি বলতে কিছু নেই। কিংবা নেই মার্কেট বন্ধের মত কোন ব্যাপার। আপনি চাইলে যে কোন সময় ক্রয় করতে পারেন এবং বিক্রয়ও করতে পারেন। স্বল্প মেয়াদী ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের জন্য আপনাকে অবশ্যই ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং বুঝতে হবে। বিশেষ করে টেকনিক্যাল এনালাইসিস শিখতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বলতে ১ বছর কিংবা তার অধিক বোঝায় সাধারণত। আপনি যখন কোন ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম ভবিষ্যতে বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা করতে পারবেন তখন আপনি দীর্ঘমেয়াদে উক্ত কয়েনে বিনিয়োগ করতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য আপনাকে প্রথমেই বুঝে নিতে হবে কিভাবে ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করবেন। যদি কোন ক্রিপ্টোকারেন্সির টিম মেম্বার ভালো হয়, তাদের ভিশন বা রোডম্যাপ ভালো হয়ে এবং অতীতে টিমের সাফল্যের হার ভালো হয় তাহলে বিনিয়োগ করা যায়। তবে, মনে রাখতে হবে যে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন সেটার কী আসলে চাহিদা থাকবে? সেই ক্রিপ্টোকারেন্সি কি আসলেই কোন সমস্যার সমাধান করে কি না। এইসব কিছু ঠিক থাকলে কেবল তখনই আপনি দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করতে পারেন। মনে রাখবেন, একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি যদি ফান্ডামেন্টালি শক্তিশালী না হয়, তাহলে সেটা ভবিষ্যতে হারিয়ে যাবে। ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রজেক্ট হারাতে খুব বেশিদিন লাগে না। টেরা লুনা মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ১২০ ডলার থেকে শূন্যে গিয়ে পৌঁছায়। এফ.টি.এক্স কিংবা বিটকানেক্ট, এদেরও একই অবস্থা হয়েছিল। গবেষণা করলে এমন শতশত কয়েন পাবেন। সুতরাং, দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে খুব ভালো গবেষনা করতে হবে। তবে, এর ফলও পাবেন ভালো যদি আপনি সঠিক গবেষনা করে সঠিক ক্রিপ্টোকারেন্সি বাছাই করে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করতে পারেন।
নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি তে বিনিয়োগ
প্রতিদিনই নিত্যনতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে আসছে। এর বেশিরভাগ ক্রিপ্টোকারেন্সি স্ক্যাম প্রজেক্ট, মানে কিছুদিন পর আর খুজে পাওয়া যাবে না। এককালে আই.সি.ও (ICO) খুবই জনপ্রিয় ছিল। সেটা পরবর্তীতে স্ক্যামারদের কারণে প্রায় হারিয়ে গিয়েছে বলা যায়। এরপর আই.সি.ও (ICO) এর বিভিন্ন ধরণ আসে যেটা বর্তমানে এসে ঠেকেছে আই.ই.ও (IEO)। এর মানে ইনিশিয়্যাল এক্সচেঞ্জ অফারিং। এর সুবিধা হল এর মাধ্যমে যারা নতুন প্রজেক্ট শুরু করে তারা যে এক্সচেঞ্জে শুরু করবে সেখানে তাদের সকল ডকুমেন্টস দেয় এবং এটা করতে এক্সচেঞ্জকে বিশাল একটা খরচ দিতে হয় যার কারণে স্ক্যাম প্রজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলা যায়। আপনি চাইলে এই ধরনের প্রজেক্টে বিনিয়গ করতে পারেন তবে বলে রাখা ভালো, বেশিরভাগ এক্সচেঞ্জ অনেকগুলো খারাপ প্রজেক্টের IEO করে থাকে যার কারণে শুধুমাত্র নামকরা এক্সচেঞ্জের IEO করাই শ্রেয়। সেক্ষেত্রে, আপনাকে বাইন্যান্স লঞ্চপ্যাড এবং কুকয়েন স্পটলাইট এ যেসব প্রজেক্ট তাদের ইনিশিয়্যাল এক্সচেঞ্জ অফারিং করে থাকে, সেগুলোতেই অংশগ্রহণ করা উচিত।
উপরে আলোচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা এর ধরণ কিংবা ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়গের ধরণ নিয়ে যেসকল ব্যবসায়িক ধারণা দেয়া হয়েছে তা কেবল পাঠকের জানার জন্যই লেখা। বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ হওয়ায় কয়েনআলাপ কোনক্রমেই এইসব বিনিয়োগে উৎসাহিত করে না এবং কেউ যদি স্বেচ্ছায় বিনিয়োগ করেও থাকে, কয়েনআলাপ এর দায়ভার বহন করবে না।