আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) দাবি করে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোতে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।
বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি খুব দ্রুতগতিতে গ্রহনযোগ্যতা লাভ করছে। যার ফলে ইতিমধ্যেই বহু জায়গায় ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈধকরণ এবং লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা শুধু করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহ্ববিল দ্বারা 25 মার্চ “ক্রিপ্টো, দুর্নীতি, এবং মূলধন নিয়ন্ত্রণ: ক্রস-কান্ট্রি কোরিলেশনস” নামক গবেষণায় বলা হয়, ” যেসব দেশে দুর্নীতির মাত্রা বেশি সেসব দেশগুলোতে অন্যান্য দেশের তুলনায় ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার তুলনামূলক অনেক বেশি।”
প্রকৃতপক্ষে, যেসব দেশ দুর্নীতিগ্রস্ত বা বিভিন্ন পুঁজির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে, সেসব দেশেই ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণের হার বেশি।
দরিদ্র দেশগুলোতে মূলধন বা পুঁজি নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে যা কিনা বিদেশি তহবিল গুলোকে অর্থনীতিতে বা বাইরে যেতে বাধা দেয়। এক্ষেত্রে টাক্স এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ এড়াতে মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার শুরু করেছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে শুধু ডিজিটাল পরিচয়ের প্রয়োজন হয়। যার ফলে জালিয়াতি, অর্থ পাচার সহ বিভিন্ন অবৈধ লেনদেন সম্ভব। এরই জন্য Know Your Customer (KYC) ব্যবহার শুরু হয় যার মাধ্যমে একজন গ্রাহককে শনাক্ত করা সম্ভব। ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বেশ কিছু দেশ এই বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
অনেক রাজনৈতিক কর্মকর্তা এবং নিয়ন্ত্রক মনে করেন রাশিয়ান অলিগার্চরা যারা ইউক্রেনে রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রমণকে সমর্থন করেছিলেন তারা তাদের ক্রিয়াকলাপ অর্থায়ন বা নিষেধাজ্ঞাগুলিকে ফাঁকি দেওয়ার উপায় হিসাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করছে।
ইতিমধ্যেই আইএমএফ এল সালভাদরকে বিটকয়েনের অস্থিরতার ক্রমবর্ধমান এক্সপোজার নিয়ে সতর্ক করেছে। সরকারি কর্মকর্তা আইএমএফ কে বলেছে “Chivo” চালু করার ফলে আগে যাদের কোনোই ব্যাংক আ্যাকাউন্ট ছিলোনা এখন তাদের কাছেও ব্যাংক আ্যাকাউন্ট আছে যার ফলে ব্যাপক অর্থনীতিক লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে।