ইকুয়েডরীয় ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেম কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সী ট্রানজেকশনকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছিল। তা সত্ত্বেও, ৮ জানুয়ারী, ২০১৮-এ, ইকুয়েডর সেন্ট্রাল ব্যাংকের জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটিতে বিটকয়েন ক্রয় এবং বিক্রয় বৈধ।
ইকুয়েডরের সেন্ট্রাল ব্যাংক বলেছিল, ইকুয়েডরে বিটকয়েনকে পেমেন্ট মেথড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না ।ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসাবে বিটকয়েন কোন কর্তৃপক্ষ দ্বারা সমর্থিত নয়, কারণ এটির মূল্য অনুমানের উপর ভিত্তি করেই করা হয়।
সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অবশ্য বলেছিল, ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ নয়,[ Código Orgánico Monetario y Financiero (জৈব মুদ্রা ও আর্থিক কোড) এর নিবন্ধ ৯৪]।
তবে সেন্ট্রাল ব্যাংকের আজকের একটি খবরে জানা যায়, দেশটি বিটকয়েনসহ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সী রেগুলেট করতে চায়।
সেন্ট্রাল ব্যাংকের ম্যানেজার একটি বিবৃতিতে বলেন, সেন্ট্রাল ব্যাংক এ বছর ক্রিপ্টোকারেন্সী সম্পর্কিত নীতিমালা তৈরী এবং এটিকে ইস্যু করার প্ল্যান করছে।
Mercado Pago, AdvCash, Perfect Money, PayPal, ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার, বিভিন্ন গিফট কার্ড এবং আরও বেশ কিছু একচেঞ্জ সহ মোট ৩০০টিরও বেশি পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে সহজেই ইকুয়েডরে ১০ USD-এর কম দামে বিটকয়েন কেনা যাবে।
ইকুয়েডরে কতজন ক্রিপ্টো ব্যবহারকারী রয়েছে? অনুমান করা যায় প্রায় ৪৮০ হাজারের ও বেশি মানুষ ক্রিপ্টো ব্যবহার করে, যা ইকুয়েডরের মোট জনসংখ্যার ২.৭৩%, যারা বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে আসছে।
ইকুয়েডরে ক্রিপ্টোকারেন্সি মেশিন ও ইনস্টল করা হয়েছে।সেখানে সহজেই BTC কিনা যেতে পারে।
ইকুয়েডর তার ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং এর অংশ হিসাবে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করেছিল।