ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে, যা শেষ হবার কোনো নামগন্ধ নেই। উভয় পক্ষই তাদের সামরিক এবং যুদ্ধ কার্যক্রমকে চালিয়ে রাখার জন্য প্রতিটি উপলব্ধ সম্পদের উপর নির্ভর করছে। সর্বশেষে ক্রিপ্টো সম্পদ ও প্রযুক্তিকে তারা শেষ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে বোঝা যায় উভয় দেশই তাদের সবকিছু দিয়ে এই চলমান যুদ্ধে জয়লাভ করতে চায়।
ব্লকচেইন ফরেনসিক কোম্পানি Elliptic এর রিপোর্ট অনুসারে উভয় দেশই ডিজিটাল সম্পদরূপে অনুদান গ্রহন করে আসছে। একটি প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে ইউক্রেন, তার আক্রমণকারী দেশ রাশিয়ার চেয়ে বেশি ডিজিটাল অনুদান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে।
২০২২ এর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেন আক্রমন করে। এর ঠিক পরপরই উভয় দেশ তাদের সামরিক অভিযানের জন্য অনুদান পাওয়ার জন্য ব্লকচেইন প্রযুক্তির সাহায্য নেয়।
প্রায় $২১২.১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে রাশিয়ান ফেডারেশনের পক্ষে Belarus এ থাকা সরকারবিরোধী একটি সংস্থা মাএ $০.৭ মিলিয়ন অনুদান সংগ্রহ করেছে। এরই সাথে Pro–Russian নামক আরো একটি সংস্থা রাশিয়ার পক্ষে $৫ মিলিয়ন অনুদান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে।
Chainalysis এর আরো একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকালে ইউক্রেন $৭০ মিলিয়ন ক্রিপ্টো অনুদান হিসেবে পায়। যুদ্ধের কয়েক মাসের মধ্যেই তাদের হাতে ৮০ শতাংশ ক্রিপ্টো চলে আসে। ব্লকচেইন ডেটা প্ল্যাটফর্ম Chainalysis বলেছে, উভয়দেশ তাদের যুদ্ধকে চালিয়ে যাবার জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিশেষ করে বিটকয়েন (BTC) এবং ইথেরিয়াম (ETH) ব্যবহার করেছে।
রাশিয়ার আক্রমনের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি ও গোলযোগের সৃষ্টি হয় তাতে ইউক্রেন ক্রিপ্টোকে তাদের আশার আলো হিসেবে পেয়েছে। ইউক্রেনের ডেপুটি ডিজিটাল মন্ত্রীর তথ্য মতে ক্রিপ্টোর লেনদেন দ্রুতগতি হওয়ায় এটি তাদের যুদ্ধে সঠিক সময়ে সাড়া দেয়ার সক্ষমতা কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়।